বাংলাদেশের মানুষ মহাকাশে রকেট উড়াবে বা মিসাইল বানিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে তা রীতিমত একটা সাহসী স্বপ্নের মত। শুধু স্বপ্ন দেখেই ক্ষান্ত না হয়ে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করেছেন একদল উদ্যমী প্রকৌশলী শিক্ষার্থীর দল। ২০১৮ সাল থেকে ধূমকেতু-১ নাম দিয়ে চলা এই রকেট প্রজেক্টের শুরুটা হয় ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী নাহিয়ান আল রহমানের হাত ধরে।

টানা তিন বছর ধরে চলতে থাকা গবেষণা ও পরিশ্রমের পর ধূমকেতু-১ ও ধূমকেতু-২ নামের চারটি রকেট এখন রয়েছে চূড়ান্ত ধাপে। সরকারের অনুমতি মিললেই বাংলার আকাশে উৎক্ষেপণ করবে দেশের তৈরি প্রথম রকেট। এ প্রকৌশলী দলটি এর আগেও অনেক রোবোটিক্স প্রজেক্টে সফল হয়েছেন বলেও জানা গেছে।

ছোটবেলায় টেলিভিশনে রকেট ওড়ানোর দৃশ্য দেখেই মূলত রকেট তৈরির ইচ্ছা পুষিয়ে রেখেছিলেন নাহিয়ান আল রহমান। সেই ইচ্ছা থেকেই ২০১২ সালে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হওয়ার পর বন্ধুদের নিয়ে শুরু করেন গবেষণা। তবে অর্থের অভাবে থমকে যায় তাদের স্বপ্ন।পরবর্তীতে ২০১৭ সালে স্নাতক শেষ করে আবারো মনোবল সঞ্চয় করে ২০১৮ সালে প্রজেক্টটি সচল করেন নাহিয়ান।

চাকরির সুযোগ পেলেও স্বপ্ন পূরণের আশায় রকেট তৈরির কাজই করে যান নাহিয়ান। নাহিয়ান জানান, দুই মডেলের চারটি রকেট তৈরিতে ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৪ বছর সময় লেগেছে। ধূমকেতু-১ লম্বা ৮ ফুট করে দুটি মিলে ১৬ ফুট লম্বা।

আর ধূমকেতু-২ প্রতিটি ৬ ফিট করে, দুটি মিলে ১২ ফিট লম্বা রকেট। আর আয়তনের দিক থেকে বড় রকেট ৬ ইঞ্চি এবং ছোটটি ৪ ইঞ্চি। রকেট উৎক্ষেপণের জন্য সরকারের অনুমতি পেতে দুই সপ্তাহ আগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেন জানান নাহিয়ান। তিনি বলেন, সরকারের অনুমোদন ছাড়া রকেট উৎক্ষেপণ সম্ভব নয়। অনুমতির পর উৎক্ষেপণ সফল হলে নিজের দেশে রকেট বানানো সম্ভব হবে বলে করেন তরুণ এ প্রকৌশলী।

 

কলমকথা/সাথী